শ্রীবরদীতে মসলার জাত সম্প্রসারণে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত


স্টাফ রিপোর্টারঃ শেরপুরের শ্রীবরদীতে মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণে দুই দিনব্যাপী কৃষি প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।
২৮ এপ্রিল সোমবার শ্রীবরদী উপজেলা কৃষি অফিসের হল রুমে কর্মশালার উদ্ধোধন করেন উপজেলা কৃষি অফিসার সাবরিনা আফরিন। এদিন প্রথম পর্যায়ে উপজেলার ৬০ জন কৃষক-কৃষাণী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহন করেন। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা শোয়েব আহমেদ।
অতিরিক্ত কৃষি অফিসার মো. ওয়াসিফ রহমানের সন্ঞ্চালনায় প্রশিক্ষণের উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা কৃষি অফিসার সাবরিনা আফরিন।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) মো. আলমগীর কবির। প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষক হিসেবে অতিরিক্ত কৃষি অফিসার ওয়াসিফ রহমান বিভিন্ন মসলার পরিচিতি, মসলার গুণাগুণ ও চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে প্রশিক্ষনার্থীদের মাঝে আলোচনা করেন। বিশেষ করে পতিত জমিতে ও অল্প ছায়াযুক্ত স্থানে বস্তায় আদা চাষ ও হলুদ চাষ করতে সকলকে উদ্বুদ্ধ করেন।
এসময় বিভিন্ন ধরনের মসলা ফসলের মধ্যে আদা, রসুন, পিঁয়াজ, দারুচিনি, এলাচ, জিরা, কালোজিরা, মরিচ ও অন্যান্য মসলা চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তর আলোচনা করা হয়।
এ ব্যাপারে শ্রীবরদী উপজেলা কৃষি অফিসার সাবরিনা আফরিন বলেন, বর্তমান বাজারে মসলার দাম ও চাহিদা অনেক বেশি; তাই পরিত্যক্ত ও অল্প ছায়াযুক্ত স্থানে আদা ও হলুদ এবং পতিত জমিতে অন্যান্য মসলা যেমন- দারুচিনি, তেজপাতা, পিঁয়াজ, রসুন প্রভৃতি চাষ করে নিজেদের চাহিদা মিটানোর পাশাপাশি বেকারত্ব দূর করে সাবলম্বী হওয়া সম্ভব। আমরা কৃষকদের মসলা চাষে আগ্রহী করছি।
জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা শোয়েব আহমেদ বলেন, পতিত জমিতে মসলা ফসল উৎপাদন করে আমদানি নির্ভরতা কমাতে হবে। মসলার জাত উন্নয়ন ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে মসলার আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে নিজেরা উৎপাদন করে স্বনির্ভরতা বাড়াতে হবে। তাই প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে আবাদ বাড়ানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ।