পদ্মার ভাঙনে বিপর্যস্ত চরভদ্রাসন দৈনিক চৌকস দৈনিক চৌকস প্রকাশিত: ৫:৩৬ অপরাহ্ণ, মার্চ ১, ২০২৫ ফকির আল মামুন, স্টাফ রিপোর্টার (ফরিদপুর) ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলায় পদ্মা নদীর ভয়াবহ ভাঙন বসতবাড়ি, ফসলি জমি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং হাট-বাজারসহ নানা স্থাপনার অস্তিত্ব হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। সাতটি গ্রামের বাসিন্দাদের জীবন ও সম্পত্তি এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ভাঙনের কারণ স্থানীয় বাসিন্দারা এবং বিশেষজ্ঞরা অভিযোগ করেছেন, পদ্মার তীরে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের কারণে নদী তীরের স্থিতিশীলতা নষ্ট হয়েছে। এর ফলে ভাঙনের তীব্রতা দিন দিন বাড়ছে। এই অবৈধ কার্যক্রম স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রভাবিত এলাকা চরভদ্রাসনের সাতটি গ্রামের মানুষ সরাসরি ভাঙনের শিকার। বসতবাড়ি হারানো মানুষদের পুনর্বাসনের কোনো নির্দিষ্ট পরিকল্পনা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। কৃষিজমি এবং স্থানীয় অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় জনজীবনে অর্থনৈতিক বিপর্যয় নেমে এসেছে। প্রশাসনের উদ্যোগ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ইতোমধ্যে ভাঙন রোধে একটি বাঁধ নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছে। ৪০০ কোটি টাকার এই প্রকল্প ২০২৮ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) রামানন্দ পাল জানান, প্রকল্প প্রস্তাবনা দ্রুত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। গণশুনানি ও স্থানীয়দের দাবি জেলা প্রশাসনের আয়োজিত গণশুনানিতে স্থানীয়রা তাদের সমস্যাগুলো তুলে ধরেন। এলাকাবাসীর মূল দাবি ছিল অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করা। তাদের মতে, বাঁধ নির্মাণের পাশাপাশি বালু উত্তোলন বন্ধ করা না হলে এই প্রকল্পও যথাযথ ফল দেবে না। ভবিষ্যতের পরিকল্পনা পাউবো’র প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে চরভদ্রাসন উপজেলার ভাঙন প্রতিরোধ সম্ভব হবে। তবে প্রকল্পের সাফল্য নির্ভর করছে অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ করার ওপর। পদ্মার ভয়াবহ ভাঙনে বিপর্যস্ত চরভদ্রাসনবাসী দ্রুত সমাধানের দাবি জানিয়েছেন। সরকারের উচিত এই সংকট নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া, যাতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি মানবসৃষ্ট সমস্যাগুলোরও সমাধান হয়। SHARES সারা বাংলা বিষয়: