রাজশাহীতে ডাকাত আউয়ালসহ সংঘবদ্ধ ছিনতাই ও চাঁদাবাজ চক্রের ১০ সদস্য গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: ২:৪৯ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৫

ক্রাইম রিপোর্টার: রাজিব খান

রাজশাহীতে সংঘবদ্ধ ছিনতাই ও চাঁদাবাজ চক্রের সর্দার আব্দুল আউয়াল ওরফে ডাকু আউয়ালসহ ১০ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৫। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) র‍্যাব-৫ রাজশাহীর পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের পরিচয়

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন:

  1. ডাকু আউয়াল (৪৫) – নগরীর হোসনিগঞ্জ এলাকার হাতেম কসাইয়ের ছেলে।
  2. সম্রাট (৩৮) – দামকুড়ার ধুতরাবনা এলাকার মৃত আব্দুস ছাত্তারের ছেলে।
  3. শান্ত ইসলাম (২২) – আসাম কলোনী এলাকার আকবর আলীর ছেলে।
  4. জিসান হোসেন (২৩) – রাণীনগর মোন্নাফের মোড় এলাকার আলমগীর হোসেনের ছেলে।
  5. মাইন হোসেন আলিফ (১৯) – কাজলা এলাকার আফজাল হোসেনের ছেলে।
  6. শাকিল খান (২৩) – মেহেরচন্ডী কড়ইতলা এলাকার রজব আলীর ছেলে।
  7. নাইম ইসলাম (২৫) – পাঠানপাড়া এলাকার মো. আফরোজের ছেলে।
  8. শরিফুল ইসলাম ওরফে সনি (৩২) – পাঠানপাড়ার মৃত বাদশার ছেলে।
  9. আকাশ হোসেন (২৩) – কাশিয়াডাঙ্গার কাঁঠালবাড়িয়া এলাকার মো. সেলিমের ছেলে।
  10. সোহাগ আলী (২৮) – চারঘাট উপজেলার চকমোক্তারপুর এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।

অভিযানে উদ্ধারকৃত আলামত

গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে পাওয়া যায়:

  • ৪টি মোবাইল ফোন
  • ৪টি মানিব্যাগ
  • নগদ ১,৬৪৫ টাকা
  • ১টি ধারালো টিপ চাকু
  • ১টি চাঁদা আদায়ের রশিদ বই
  • ১টি মোটরসাইকেল

র‍্যাবের কার্যক্রম ও অভিযান

র‍্যাব-৫ এর মিডিয়া উইং জানায়, দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এবং ডাকাতি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজি দমনে রাজশাহীতে বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে। রাজশাহী মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে রোবাস্ট পেট্রোল, সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি, চেকপোস্ট স্থাপন এবং যানবাহনে তল্লাশি কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।

রাতে পরিচালিত অভিযানে এই সংঘবদ্ধ চক্রের ১০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মাদক, ছিনতাই ও চুরির একাধিক মামলা রয়েছে। বিশেষ করে ডাকু আউয়াল এবং তার সহযোগী সম্রাটের নামে একাধিক ডাকাতি ও ছিনতাই মামলা রয়েছে।

কিশোর গ্যাং সদস্যদের জড়িত থাকার প্রমাণ

এই চক্রের মধ্যে কিশোর গ্যাং চক্রের অন্যতম সদস্য হিসেবে পরিচিত জীবন ইসলামও রয়েছে, যিনি কাঁঠালবাড়িয়া গোবিন্দপুর এলাকার বাসিন্দা।

র‍্যাব-৫ জানায়, চক্রটির অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলমান থাকবে। এই কার্যক্রম নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বড় ভূমিকা রাখবে।