কালীগঞ্জে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ফসলি জমির মাটি কাটা, এক্সকাভেটর জব্দ দৈনিক চৌকস দৈনিক চৌকস প্রকাশিত: ৩:৫১ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৫ গাজীপুর, বাংলাদেশ : গাজীপুরের কালীগঞ্জে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ফসলি জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটার অভিযোগে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে একটি এক্সকাভেটর (ভেকু) জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, উপজেলার শিমুলিয়া এলাকায় বেলাই বিল সংলগ্ন কৃষি জমি থেকে অনুমোদন ছাড়াই মাটি কাটার বিষয়ে একাধিকবার অভিযোগ পাওয়া যায়। এর আগে, গত ২০ ফেব্রুয়ারি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নূরী তাসমিন ঊর্মি অভিযান চালিয়ে মাটি কাটার কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাটিদস্যুরা মাটি কাটা অব্যাহত রাখে। স্থানীয়দের কাছ থেকে এমন অভিযোগ পাওয়ার পর মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তনিমা আফ্রাদ এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নূরী তাসমিন ঊর্মির নেতৃত্বে একটি যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানের সময় মাটিদস্যুরা এক্সকাভেটর (ভেকু) ফেলে পালিয়ে যায়। পরে সেটি জব্দ করে পুলিশ হেফাজতে দেওয়া হয়। প্রশাসনের অবস্থান : উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তনিমা আফ্রাদ বলেন, “ফসলি জমি রক্ষায় প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। আমরা অভিযোগ পাওয়ার পরপরই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করি। অভিযানের সময় কোনো অপরাধীকে না পাওয়া গেলেও একটি এক্সকাভেটর জব্দ করে থানার জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। এর আগেও ২০ ফেব্রুয়ারি অভিযান চালিয়ে মাটি কাটার কাজ বন্ধ করা হয়েছিল। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে।” সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, ফসলি জমি থেকে মাটি কাটা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তবে কিছু অসাধু চক্র এই নিয়ম অমান্য করে কৃষিজমির উর্বর মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে। কৃষিজমি সংকট ও পরিবেশের প্রভাব : বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান নগরায়নের ফলে কৃষিজমির পরিমাণ কমছে। বিশেষ করে ইটভাটার জন্য ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি কেটে নেওয়া মাটির উর্বরতা নষ্ট করছে, যা ভবিষ্যতে খাদ্য উৎপাদনের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। স্থানীয় কৃষকরা জানান, একবার মাটি কাটা হলে সেই জমিতে আর ভালো ফসল হয় না। তারা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছেন, “প্রতি বছর এভাবে মাটি কাটা হলে আমাদের কৃষিজমি ধ্বংস হয়ে যাবে। আমরা চাই দোষীদের কঠোর শাস্তি হোক।” এলাকাবাসী বলছে, প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে একাধিকবার মাটি কাটার ঘটনা তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। তারা অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, ফসলি জমি রক্ষায় অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং অপরাধীদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। SHARES অপরাধ বিষয়: