পিলখানা ট্র্যাজেডির ১৬ বছর: জাতীয় শহীদ সেনা দিবস পালিত দৈনিক চৌকস দৈনিক চৌকস প্রকাশিত: ২:৪২ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৫ নিউজ ডেস্ক : আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি, পিলখানা ট্র্যাজেডির সেই ভয়াল দিন। ২০০৯ সালের এই দিনে, ঢাকার পিলখানায় তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) সদর দপ্তরে ঘটে এক নারকীয় হত্যাযজ্ঞ। ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা নিহত হন, সঙ্গে আরও অনেক নিরপরাধ মানুষ প্রাণ হারান। এ বছর দিনটি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে পালিত হচ্ছে, যা জাতির জন্য এক শোকাবহ অধ্যায়কে নতুন মাত্রায় স্মরণ করার সুযোগ এনে দিয়েছে। শহীদদের স্মরণে বিশেষ আয়োজন : ১৬ বছর পরও সেই ক্ষত এখনো হৃদয়ে জাগরুক। শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আজ বনানী সামরিক কবরস্থানে জমায়েত হবেন তাদের স্বজন ও সহকর্মীরা। সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে দোয়া মাহফিল ও আলোচনার আয়োজন করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন, সেই সঙ্গে বিভিন্ন সংগঠন ও সাধারণ মানুষও স্মরণ করছে তাদের আত্মত্যাগ। ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারির সেই ভয়ংকর মুহূর্ত : সকালে পিলখানার বার্ষিক দরবার চলাকালীন হঠাৎই গুলি-বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা। দ্রুতই বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ে, আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নিয়ন্ত্রণ চলে যায় বিদ্রোহীদের হাতে। টানা ৩৬ ঘণ্টার বিভীষিকা শেষে, ২৬ ফেব্রুয়ারি বিকেলে সরকারের প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু ততক্ষণে পিলখানা রূপ নেয় মৃত্যুপুরীতে। সেনা কর্মকর্তাদের লাশ মাটিচাপা দেওয়া, লেকের পানিতে ফেলে দেওয়া কিংবা গুম করার মতো ভয়ংকর তথ্য বেরিয়ে আসে। এই ট্র্যাজেডি থেকে শিক্ষা ও পরিবর্তন : পিলখানা হত্যাযজ্ঞ শুধু একটি বিদ্রোহ ছিল না, এটি ছিল জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি এক বড় আঘাত। এই ঘটনার পর বিডিআর বিলুপ্ত করে নতুন নামকরণ করা হয় ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)’। বাহিনীর শৃঙ্খলা ও কাঠামো ঢেলে সাজানো হয়, যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আর না ঘটে। স্মৃতির ক্ষত আজও গভীর : ১৬ বছর পেরিয়ে গেলেও শহীদ সেনা সদস্যদের পরিবারের কান্না আজও থামেনি। ইতিহাসের এক কালো অধ্যায় হয়ে রয়েছে পিলখানার সেই দুই দিন। আজ জাতি একসঙ্গে স্মরণ করছে তাদের, যাদের আত্মত্যাগে বাংলাদেশের সামরিক শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নতুনভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। SHARES আইনশৃঙ্খলা বিষয়: