খুলনায় মেট্রোপলিটন পুলিশের আয়োজনে সুন্দর বাংলা হাতের লেখা প্রতিযোগিতা দৈনিক চৌকস দৈনিক চৌকস প্রকাশিত: ৬:২৯ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৫ এস আলম লিপন, খুলনা : বাংলা ভাষার সৌন্দর্য এবং হাতের লেখার শৈল্পিক উৎকর্ষ ধরে রাখার লক্ষ্যে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) আয়োজন করেছে ‘সুন্দর বাংলা হাতের লেখা প্রতিযোগিতা-২০২৫’। ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় খুলনার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বয়রা পুলিশ লাইনে অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য। আয়োজকদের মতে, এটি শুধু একটি প্রতিযোগিতা নয়, বরং শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসা তৈরি করতে এবং পুলিশের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতেই এ উদ্যোগ। পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ার উদ্যোগ : খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র বলেন, “বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সঙ্গে পুলিশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং বাংলা ভাষার প্রতি তাদের শ্রদ্ধা জাগিয়ে তোলার উদ্দেশ্যেই এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়েছে।” এ ধরনের প্রতিযোগিতা খুলনায় নতুন কিছু নয়। এর আগেও কেএমপি বিভিন্ন সময় ভাষা দিবস, স্বাধীনতা দিবস এবং বিজয় দিবস উপলক্ষে নানা ধরনের সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। তবে হাতের লেখা প্রতিযোগিতাটি এবার আরও বড় পরিসরে করা হয়েছে বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন। উদ্বোধনী ও অতিথিদের উপস্থিতি : প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার কুতুবউদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-পুলিশ কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ ও মেরিনা খানম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কেএমপির এডিসি (মিডিয়া) মো. আহসান হাবিব। বিচারক প্যানেলে ছিলেন জেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. শামসুল হক, কেএমপি সদর দপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার শামীমা আক্তার সুমি, খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর শংকর কুমার মল্লিক, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিদর্শক মো. নজরুল ইসলাম ও খুলনা আর্ট স্কুলের পরিচালক বিধান চন্দ্র রায়। বাংলা হাতের লেখার গুরুত্ব : শিক্ষাবিদদের মতে, বাংলা হাতের লেখা এখন অনেক ক্ষেত্রেই উপেক্ষিত। প্রযুক্তির প্রসারের ফলে শিক্ষার্থীরা হাতে লেখার চর্চা কমিয়ে দিচ্ছে। এই প্রতিযোগিতা তাদের হাতের লেখা উন্নত করার পাশাপাশি ভাষার প্রতি আগ্রহও বাড়াবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। একজন অভিভাবক বলেন, “এ ধরনের আয়োজন শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাংলা চর্চার প্রবণতা বাড়াবে। এখন শিশুদের ডিজিটাল মাধ্যমের প্রতি ঝোঁক বেশি। হাতে লেখা প্রতিযোগিতা তাদের সেই অভ্যাসে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।” পুরস্কার বিতরণ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা : প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি কুতুবউদ্দিন ও বিচারক প্যানেলের সদস্যরা। আয়োজকরা জানান, ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রতিযোগিতাকে আরও বড় পরিসরে আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা জানায়, তারা এই আয়োজন নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত। এক শিক্ষার্থী বলে, “আমি আগে হাতের লেখা নিয়ে খুব বেশি সচেতন ছিলাম না। কিন্তু এই প্রতিযোগিতার জন্য অনুশীলন করতে গিয়ে আমি বুঝতে পারছি, হাতের লেখা সুন্দর করাও একটা শিল্প।” খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, এ ধরনের উদ্যোগ তারা নিয়মিত চালিয়ে যাবে, যাতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হয় এবং বাংলা ভাষার প্রচার-প্রসার অব্যাহত থাকে। SHARES আইনশৃঙ্খলা বিষয়: