অর্থ পাচারের অভিযোগে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা দৈনিক চৌকস দৈনিক চৌকস প্রকাশিত: ৮:১০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৫ অনলাইন ডেক্স : দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বাংলাদেশের পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জীশান মির্জা, ও দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর এবং তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলা করেছে। এই মামলা দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ দায়ের করা হয়, যেখানে কমিশনের উপ-পরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম বাদী হয়েছেন। অর্থ উত্তোলন ও বিদেশে পাচার : মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বেনজীর আহমেদ তার অপরাধলব্ধ ১১ কোটি ৩৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা নগদ উত্তোলন করেন, তবে তা কোথাও বিনিয়োগ করার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে তিনি বিদেশে চলে যান, এবং সন্দেহ করা হচ্ছে যে ওই অর্থ তিনি বিদেশে পাচার করেছেন। এই পরিস্থিতি অনুযায়ী, দুদক মনে করছে যে, বেনজীর আহমেদ অবৈধভাবে অর্থ স্থানান্তর ও পাচার করেছেন, যা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর আওতায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এফডিআর হিসাব উত্তোলন ও দুর্নীতির অভিযোগ : মামলার এজাহারে আরো বলা হয়েছে যে, বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যরা ২০২৪ সালে তাদের নামে থাকা এফডিআর হিসাব থেকে অর্থ উত্তোলন করেছেন। এসব অর্থের গ্রহণযোগ্য উৎসের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি, যা এফডিআরের মাধ্যমে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পূর্ববর্তী মামলা ও তদন্ত : এটি প্রথমবার নয়, এর আগেও ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী এবং দুই মেয়ে বিরুদ্ধে ৭৪ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পৃথক চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। দুদক দাবি করেছে, যে অর্থ তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা অর্জন করেছেন, তা তাদের বৈধ আয়ের উৎস থেকে আসেনি, এবং তারা এসব সম্পদ দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অর্জন করেছেন। দেশের সর্বোচ্চ পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত : এ মামলার মাধ্যমে বেনজীর আহমেদসহ তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ তোলা হলো। এটি দেশের শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক অভিযোগের একটি বড় উদাহরণ, যা দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। এই ঘটনার পর, দুদক দ্রুত তদন্ত চালিয়ে যাবেন এবং অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। SHARES আইন আদালত বিষয়: