রংপুরে দেলোয়ারা বেগম ও শিশুর মরদেহ উদ্ধার, আতিকুল গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: ৫:৩৪ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৫

জুবেল আরেফিন, রংপুর ব্যুরো চিফ :

 

রংপুরের পীরগঞ্জে হত্যাকাণ্ডের শিকার দেলোয়ারা বেগম (৩০) এবং তার পাঁচ বছরের কন্যাশিশু সায়মার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে পীরগঞ্জ উপজেলার বড় বদনাপাড়া গ্রাম থেকে মাটি খুঁড়ে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে, শনিবার বিকেলে উপজেলার করতোয়া নদীর টোংরারদহ এলাকা থেকে দেলোয়ারা বেগমের বিচ্ছিন্ন মাথা উদ্ধার করা হয়।

 

পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আতিকুল ইসলাম (৩৫) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার দেওয়া তথ্যমতে, দেলোয়ারা বেগমের মাথা এবং পাঁচ বছরের শিশুর মরদেহ মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হয়।

 

পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ৭ ফেব্রুয়ারি দুপুরে পীরগঞ্জের চতরা ইউনিয়নের বড় বদনা পাড়া গ্রামের পাশে মরিচক্ষেত থেকে একটি মাথাহীন অজ্ঞাত নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে জানা যায়, এটি দেলোয়ারা বেগমের মরদেহ। দেলোয়ারা নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার বাসিন্দা ছিলেন এবং তার বিয়ে হয়েছিল গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জে। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

 

দেলোয়ারা বেগমের সাথে আতিকুল ইসলামের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল এবং তারা একসাথে গান-বাজনা করতেন। পুলিশ আতিকুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার দেওয়া তথ্যমতে শনিবার বিকেলে দেলোয়ারা বেগমের খণ্ডিত মাথা মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হয়। পরে, তার সাবেক স্বামী পুলিশকে জানান যে, দেলোয়ারা বেগমের সঙ্গে পাঁচ বছরের কন্যাশিশু সায়মাও ছিল।

 

আতিকুলের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, শিশুটিকে হত্যা করে তার মরদেহ গাছ বাগানের পাশে পুতে রাখা হয়েছিল। রোববার সকালে পুলিশ ওই গর্ত খুঁড়ে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।

 

এদিকে, আতিকুলের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে পুলিশ আরও কিছু আলামত, যেমন কাটা মাথা, একটি ব্যাগ ও বক্স উদ্ধার করেছে। পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডের সাথে আতিকুল ইসলামের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করেছে এবং তার বিরুদ্ধে আরও তদন্ত চলছে।