ফকিরহাটে ৬০০ বস্তা ওএমএসের সরকারি চাল জব্দ, আটক ২ দৈনিক চৌকস দৈনিক চৌকস প্রকাশিত: ২:৫৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৩, ২০২৫ আব্দুল্লাহ সরদার : বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলায় সরকারি ওএমএস (খোলাবাজারে বিক্রির জন্য বরাদ্দ) চাল কালোবাজারির অভিযোগে ৬০০ বস্তা চাল জব্দ করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফকিরহাট মডেল থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে এ চাল জব্দ করে এবং ঘটনায় জড়িত দু’জনকে আটক করে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন ফকিরহাটের কাথলী গ্রামের প্রফুল্ল মজুমদারের ছেলে আশাতীত মজুমদার (২১) এবং বারাশিয়া গ্রামের দাবির উদ্দীন ভূঁইয়ার ছেলে আব্দুর রসূল (৪৫)। আশাতীত মজুমদার স্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ‘মজুমদার ভান্ডার’-এর মালিকের ছেলে এবং আব্দুর রসূল ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী। চাল মজুদের প্রক্রিয়া : পুলিশ জানায়, সারা দেশে ওএমএস কার্যক্রমের আওতায় কম আয়ের মানুষের জন্য সরকারি চাল সরবরাহ করা হচ্ছে। কিন্তু এই সুবিধার অপব্যবহার করে ফকিরহাটের মজুমদার ভান্ডারের একটি ব্যক্তিগত গোডাউনে ৩০ কেজি ওজনের ৬০০ বস্তা সরকারি চাল মজুদ করা হয়। চালগুলো নুরজাহান ব্র্যান্ডের বস্তায় রূপান্তরিত করে বাজারে বিক্রি করার চেষ্টা চলছিল। অভিযানের বিবরণ : ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আলমগীর কবীর বলেন, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সরকারি লোগোযুক্ত চাল জব্দ করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে দু’জনকে আটক করা হয়েছে এবং বস্তাগুলো থানার হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলছে।” ব্যবসায়ীর দাবি : আশাতীত মজুমদার দাবি করেছেন, বগুড়ার করতোয়া চাউল কলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মেসার্স আসিফ এন্টারপ্রাইজ থেকে ৬৬৭ বস্তা চাল ৯ লাখ ৩৪ হাজার টাকায় কেনা হয়। এগুলো স্থানীয় বাজারে পাইকারি ও খুচরা বিক্রির জন্য প্যাকেট পরিবর্তন করা হচ্ছিল। আইনগত পদক্ষেপ : পুলিশ জানিয়েছে, সরকারি চাল কালোবাজারি এবং নীতিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগে আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্থানীয় জনগণের দাবি, এ ধরনের ঘটনা বন্ধে নিয়মিত অভিযান চালানো এবং কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। SHARES আইনশৃঙ্খলা বিষয়: