হারিয়ে যাচ্ছে চুঙ্গাপিঠার ঐতিহ্য দৈনিক চৌকস দৈনিক চৌকস প্রকাশিত: ৪:৫৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৪, ২০২৫ তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে এক সময় চুঙ্গাপিঠা বা চুঙ্গা পিঠা ছিল শীতকালীন অন্যতম জনপ্রিয় খাবার। এই ঐতিহ্যবাহী খাবারটি আজকাল আর তেমন দেখা যায় না। তবে, এক সময় বিভিন্ন গ্রামে শীতের আগমনে চুঙ্গাপিঠা তৈরির ধুম পড়ে যেত। পিঠাটি মূলত চালের গুড়া, নারিকেল কুচি, চিনি এবং খেজুরের গুড় দিয়ে তৈরি করা হয়। তারপর তা পিঠার আকারে গড়ে তোলা হয় এবং গরম তেলে ভাজা হয়। গ্রামের মেলাগুলোতে : চুঙ্গাপিঠা ঐতিহ্যগতভাবে গ্রামের মেয়ে-বাচ্চারা পরিবারের সদস্যদের জন্য তৈরি করত, বিশেষত শীতকালীন উৎসবগুলোতে। গ্রামের মেলাগুলোতে, পিঠা উৎসবে, গৃহিণীদের তৈরি চুঙ্গাপিঠা ছিল বিশেষ আকর্ষণ। তবে, আধুনিকতার ছোঁয়া এবং বাজারে সহজলভ্য বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যের কারণে চুঙ্গাপিঠার ঐতিহ্য এখন হারিয়ে যেতে বসেছে। বর্তমানে শহরের অলি-গলিতে: গ্রামীণ অঞ্চলে পিঠা তৈরির ঐতিহ্য আজও কিছুটা টিকে আছে, কিন্তু চুঙ্গাপিঠার প্রতি আগ্রহ কমে গেছে। বর্তমানে শহরের অলি-গলিতে নানা ধরনের প্যাকেটজাত খাবারের আধিপত্য থাকায় এক সময়ের জনপ্রিয় চুঙ্গাপিঠা এখন আর তেমন পাওয়া যায় না। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, চুঙ্গাপিঠার ঐতিহ্য রক্ষার জন্য কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। তা ছাড়া, পিঠা তৈরির প্রক্রিয়া এবং উপাদানগুলি অনেকটা পরিবেশবান্ধব এবং স্বাস্থ্যকর। এর মাধ্যমে স্থানীয় কৃষকদের উৎপাদিত উপকরণও ব্যবহৃত হয়, যা অর্থনৈতিক দিক থেকেও সুবিধাজনক হতে পারে। তবে, এখনো অনেক জায়গায় কিছু পরিবার তাদের প্রাচীন ঐতিহ্য ধরে রেখেছে এবং চুঙ্গাপিঠার স্বাদ উপভোগ করছে। আশা করা যায়, যদি ঐতিহ্যবাহী এই খাবারটির প্রতি আগ্রহ ফিরে আসে এবং এর প্রস্তুতির প্রক্রিয়া পুনরুজ্জীবিত হয়, তবে তা ভবিষ্যতে নতুন প্রজন্মের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। সংস্কৃতির এই অংশকে বাঁচিয়ে রাখতে এবং পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তা তুলে ধরতে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং স্থানীয় প্রশাসন উদ্যোগ নিতে পারে। SHARES সারাদেশ বিষয়: