কক্সবাজার জেলার রামু থানায় ১০৫ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি কমিটি ঘোষণা করে জাতীয় নাগরিক কমিটি দৈনিক চৌকস দৈনিক চৌকস প্রকাশিত: ৯:৫০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৩, ২০২৫ মোঃ কামরুল হাসান, বিশেষ প্রতিনিধি, কক্সবাজার: জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে কক্সবাজার জেলার রামু থানায় ১০৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি নতুন প্রতিনিধি কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এই কমিটি রামু থানা নিয়ে ১৯ দফা দাবি বাস্তবায়ন করতে রামু থানার সকল শ্রেণির মানুষকে একসাথে নিয়ে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কমিটির মূল ১৯ দফা দাবি: সাম্প্রদায়িক সহিংসতার সুষ্ঠু তদন্ত: রামুতে সংগঠিত সকল সাম্প্রদায়িক সহিংসতার সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক বিচার নিশ্চিত করা। জুলাই বিপ্লবের বিপক্ষ শক্তি দমন: জুলাই বিপ্লবের বিপক্ষ শক্তির সকল কর্মকাণ্ড কঠোর হস্তে দমন করে রামুতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা। ফ্যাসিস্ট প্রশাসনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: প্রশাসনে বিদ্যমান সকল ফ্যাসিস্ট শক্তির দোসর কর্মকর্তা, কর্মচারীদের চাকরি থেকে বহিষ্কার করা। সরকারি অফিসের স্বচ্ছতা: সরকারি প্রতিষ্ঠানে জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে অফিসগুলোর কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। দালালমুক্ত সরকারি প্রতিষ্ঠান: ভূমি অফিস, থানা, ইউএনও অফিস, কৃষি ও মৎস, সমাজসেবা, বিদ্যুৎ অফিসসহ সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানে দালালমুক্ত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে বাদ দেওয়া: রামুতে সকল ভূয়া মুক্তিযোদ্ধার নাম মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে বাদ দেওয়া এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার স্বচ্ছতা: রামুতে সকল বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কর্মকাণ্ডের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং এনজিওতে জুলাই বিপ্লবের পক্ষের প্রতিনিধি রাখা। অবৈধ সিএনজি চাঁদাবাজি বন্ধ করা: রামুতে অবৈধভাবে সড়কে সিএনজি, অটোরিকশা স্ট্যান্ড বসিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ করা। বাঁকখালী নদী রক্ষা: বাঁকখালী নদীতে অবৈধ বালি উত্তোলন বন্ধ করা এবং নদী ড্রেজিং করা। যানজট নিরসন: রামুতে যানজট নিরসনে বিশেষ সেল গঠন করে ট্রাফিক ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ করা। ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: ভূমিদস্যুদের কাছ থেকে বনভূমি উদ্ধার ও অবৈধ পাহাড় কাটা বন্ধ করা। অবৈধ করাতকল ও ইটভাটা উচ্ছেদ: সকল অবৈধ করাতকল ও ইটভাটা উচ্ছেদ করা। চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাস রোধ: রামুতে সকল চাঁদাবাজি এবং সন্ত্রাস রোধে ব্যবস্থা নেওয়া। হাট-বাজার ইজারা: দরপত্রের মাধ্যমে রামুর সকল হাট-বাজার এবং বালুমহালের ইজারা নিশ্চিত করা। মাদকবিরোধী কার্যক্রম: রামুতে মাদকবিরোধী কার্যক্রম জোরদার করা এবং চোরাচালান বন্ধে প্রশাসনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা। ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক পৃষ্ঠপোষকতা: রামুর ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে সরকারের সঠিকভাবে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান। ভোটার তালিকা হালনাগাদ: ভোটার তালিকা বিশেষভাবে হালনাগাদ করা এবং রোহিঙ্গা ভোটারদের বাদ দেওয়া। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ক্ষতিপূরণ: রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষ হিসেবে রামুর জন্য সরকারের বিশেষ বাজেটে বরাদ্দ দেওয়া। স্থানীয় জনগণের কর্মসংস্থান: রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পসহ কক্সবাজারে কার্যক্রম পরিচালনাকারী সকল এনজিওতে চাকরির ক্ষেত্রে স্থানীয় জনগণের, বিশেষ করে রামুর বেকার শিক্ষিতদের প্রাধান্য দেওয়া। এই কমিটি রামু থানা এলাকার মানুষের জন্য বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার পাশাপাশি জনগণের অধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করবে। কমিটির সদস্যরা দৃঢ় প্রত্যয়ে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। SHARES ছবিঘর বিষয়: